Dr. Jubayer Ahmad
MBBS, MS (Cadiovascular & Thoracic Surgery)
Former clinical Fellow at National University Hospital, Singapore.
Vascular & Endovascular Surgeon
Assistant Professor & Associate Consultant
Department of Vascular Surgery
Ibrahim Cardiac Hospital and Research Institute
Shahbag, Dhaka
Qualifications:
-
Fellowship Training on Basic Vascular Surgery Institution: National University Hospital, Singapore Awarding Body: National University Hospital, Singapore
-
Master of Surgery (Cardiovascular and Thoracic Surgery) Institution: Bangabandhu Sheikh Mujib Medical University Awarding Body: Bangabandhu Sheikh Mujib Medical University, Dhaka, Bangladesh
-
MBBS (Bachelor of Medicine and Surgery) Institution: Rangpur Medical College Awarding Body: University of Rajshahi, Rajshahi.
Profile
Clinical Experiance
In House Training | Institute | Rangpur Medical College Hospital Rangpur, Bangladesh-- | |
---|---|---|---|
Honorary Training: | Institute: | Post Graduate Training Department:Department of Surgery (General Surgery)Bangabandhu Sheikh Mujib Medical University, Dhaka, Bangladesh | |
Thoracic Surgery | Institute: | Department: Department of Thoracic Surgery National Institute of Disease of Chest and Hospital, Dhaka, Bangladesh | |
Clinical Fellowship Training | Institute: | Department: Vascular Surgery under Department of Cardio vascular and Thoracic surgery National University Hospital Singapore | |
Advanced Cardiac Life Support | Institute: | National University Hospital Singapore |
Attended at National & International Conference
Activity | Delegate |
---|---|
Programme: | 1st International conference on critical care |
Date: | 16-17 March 2013 |
Venue: | Dhaka, Bangladesh |
Activity | Faculty |
---|---|
Programme: | 26th annual congress of ATCSA- 2016 |
Date: | 1-2 December ,2016 |
Venue: | Dhaka, Bangladesh |
Activity | Faculty |
---|---|
Programme: | Advanced Vascular Surgery Symposium |
Date: | 12th July 2017 |
Venue: | Dhaka, Bangladesh |
Activity | Faculty |
---|---|
Programme: | International Advanced Vascular Surgery Symposium |
Date: | 10th November, 2017 |
Venue: | Dhaka, Bangladesh |
Activity | Faculty |
---|---|
Programme: | NHF CCD 2017 |
Date: | 1-2 December 2008 |
Venue: | Dhaka, Bangladesh |
Activity | Faculty |
---|---|
Programme: | 2nd International Advanced Vascular Surgery Symposium |
Date: | 20th January, 2018 |
Venue: | Dhaka, Bangladesh |
Activity | Delegate |
---|---|
Programme: | Wires in the Periphery |
Date: | 15-17th August, 2019 |
Venue: | SGCR & WIRES , Singapore |
Activity | Faculty |
---|---|
Programme: | International Conference and workshop on Haemodialysis access Surgery |
Date: | 1 2th October” 2019 |
Venue: | Dhaka, Bangladesh |
Activity | Delegate |
---|---|
Programme: | Critical Issue in Endovascular Therapy2nd International Advanced Vascular Surgery |
Date: | 30th November- 1 December, 2019 |
Venue: | SVESS, Singapore |
Publications:
- Effect of Cardio-pulmonary bypass on haemostasis. BSMMU J 2018; 11:134-138
- EFFECT OF MAGNESIUM ADMINISTRATION IN THE PREVENTION OF VENTRICULAR ARRHYTHMIAS FOLLOWING CARDIOPULMONARY BYPASS; National heart foundation hospital journal
- Giant left atrium in a case of Mitral stenosis with LA Thrombus; Cardio Vascular Journal, July, 2016
- Early outcome of mitral valve replacement through right anterolateral thoracotomy versus standard median sternotomy.- BSMMU journal, v-11,n-1,2018
- Brachio-Axillary Transposition Fistula with Reverse Great Saphenous Venous Graft: a new hope for the patient of End Stage Renal Disease.Bangladesh heart journal, Vol-33,No-2, july’2018
- Evaluation of cardiac remodelling after surgical closure of atrial septal defect in different age groups. Ibrahim Medical College Journal. Vol-8, no-1-2, April & October 2018
- Study of electrolytes and blood gas changes in Acute and Acute on Chronic intestinal Obstruction-North Bengal Medical College journal. V-6,n-1,2020
My Professional Philosophy-
আমার দর্শন
To find a challenging position to meet my competencies, capabilities, skills, education and experiences.
I will strive to be a tremendous asset to the
medical field by devoting all of my time and my
life to be an excellent Vascular Surgeon.
I believe that I am obligated to use my talents in a constructive manner,
in a manner that benefits the society.
Angiogram , Angioplasty and stenting in cathlab
Services
Diseases And Treatment-- নিম্নল্লিখিত রোগ এবং রোগের চিকি ৎসা
রোগের ধরনঃ
রক্তনালীর চিকিতসাঃ
কাটাছেড়া না করে রক্তচলাচলের ব্যবস্থা
বেলুন এঞ্জিওপ্লাস্টি
- স্টেন্ট বা রিং পরিয়ে রক্ত চলাচলের ব্যবস্থা বা রক্ত নালীর ব্লক অপসারন
- ডায়ালাইসিস রোগীদেরঃ
- বিভিন্ন ধরনের ফিস্টুলা তৈরি করা
কাটা-ছেড়া না করে না করে বন্ধ ফিস্টুলা চালুর ব্যবস্থা (ফিসটুলোপ্লাস্টি)
ফিসটুলা সম্পর্কিত বিভিন্ন জটিলতার চিকিৎসাসেবা
এঞ্জিওগ্রাম করা রোগীদের পাংচারের জায়গায় একটি সাধারন জটিলতা হচ্ছে সিওডোএনিউরিজম এর চিকিৎসা।
- রক্তনালীর বিভিন্নধরনের টিউমারের অপারেশন এবং ফোস্ক্লেরোথেরাপীর সুবিধা।
Varicose vein --পায়ের আঁকাবাঁকা শিরা
Before And After Treatment Of Varicose Vein With Laser
ভ্যারিকোস ভেইন হচ্ছে রক্তনালীর অতি সাধারন রোগ। এই রোগে চামড়ার নিচের শিরা ফুলে ওঠে এবং আঁকাবাঁকা দেখা যায়। কেন হয়?১. যাদের জন্মগতভাবে শিরার ভাল্ব দুর্বল থাকে।
২. যারা দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে কাজ করে। এছাড়াও
গর্ভাবস্থায় হতে পারে।
পেটের ভিতর টিউমার থাকলে বা পেটে পানি জমলে শিরার উপর চাপ পড়ে যাকে সেকেন্ডারি ভ্যারিকোস ভেইন বলা হয়।
উপসর্গঃ১. শুরুরদিকে তেমন কোন উপসর্গ থাকে না।
২. পায়ে টান লাগে, বেশিরভাগ সময় ঘুমের মধ্যে।
৩. পা ভারি ভারি লাগে। ৪. দীর্ঘক্ষন দাঁড়িয়ে থাকলে বা কোথাও জার্নি করলে পা ফুলে যায়। যা সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর কমে যায়। রোগ নির্নয়ের উপায়ঃ ১. রোগী দেখেই বোঝা যায়। ২. ডুপ্লেক্স স্টাডি (ধমনী ও শিরার আল্ট্রাসনোগ্রাফি) করে রোগ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। ভ্যারিকোস ভেইনের জটিলতাঃ ১. পা কালো হয়ে যেতে পারে। ২. আলসার বা ক্ষত হয়ে যেতে পারে। ৩. রক্তক্ষরণ হতে পারে। ৪. ত্বক শক্ত হয়ে যেতে পারে। ৫. রক্ত জমাট বেঁধে রক্তনালী বন্ধ হয়ে যেতে পারে। চিকিৎসাঃ শুরুর দিকে রোগ ধরা পড়লে কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলতে হয়। যেমনঃ ১. টানা দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকা যাবে না। ২. নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। ৩. ঘুমানোর সময় পায়ের দিক উঁচু রাখতে হবে। ৪. ওজন কমাতে হবে। ইলাসটিক কম্প্রেশন স্টকিংস (বিশেষ ধরনের মোজা) পরতে হবে। অস্ত্রোপচার করে চিকিৎসা করা যায়। বর্তমানে কোনরকম কাটা ছেড়া না করে অত্যাধুনিক লেজার পদ্ধতিতে চিকিৎসা করা যায়। এছাড়াও রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি এ্যাবলেশন বা মেকানো ক্যামিকেল এ্যাবলেশন করেও চিকিৎসা করা যায়।
ফিস্টূলা কি ?
কোন কারনে শিরা এবং ধমনীর মধ্যে সংযোগ স্থাপিত হলে তাকে ফিস্টূলা বলা হয় । কিডনি রোগীদের ডায়ালসিস এর সুবিধার্থে কৃত্তিম উপায়ে অপারেশনের মাধ্যমে এই ধরনের ফিস্টূলা তৈরি করা হয়। মুলত হাতের কব্জির উপরে এবং বাহুতে এই ফিস্টূলা তৈরি করা হয় ।
কিডনি ফেইল্যুর রোগীর জীবনপথ - ফিস্টুলা বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ২ কোটি মানুষ কিডনি রোগে (CKD) ভুগছেন। এর মধ্যে প্রতিবছর প্রায় ৩৫,০০০- ৪০,০০০ রোগীর কিডনি ফেইল্যুর (End stage renal disease) হচ্ছে। কিডনী বিকল হওয়ার প্রধান কারঙ্গুলোর মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী কিডনী প্রদাহ, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস এবং ব্লাড প্রেশার অন্যতম। এইসব রোগীদের চিকিৎসার একমাত্র পথ হচ্ছে ডায়ালাইসিস। বিকল্প ব্যাবস্থা হিসেবে অনেক সময় কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট করা যায় যা বেশ ব্যয়বহুল এবং সময় সাপেক্ষ। ডায়ালাইসিস প্রধানত দুই ধরনের পদ্ধতিতে করা হয়। একটি মেশিনের মাধ্যমে যাকে বলা হয় হিমোডায়ালাইসিস। আরেকটি পদ্ধতি হচ্ছে পেরিটোনিয়াল ডায়ালাইসিস। এই পেরিটোনিয়াল ডায়ালাইসিস আবার দুইভাবে করা যায়। ইন্ট্রাপেরিটোনিয়াল ডায়ালাইসিস (IPD) যা খুব গুরুতর রোগীদের জরুরীভাবে করা হয়। এটা একটা অস্থায়ী (temporary) পদ্ধতি। আরেকটি পদ্ধতি হচ্ছে সিএপিডি (continuous ambulatory peritoneal dialysis)। সিএপিডিতে একধরনের ডিভাইস রোগীর পেটে স্থাপন করা হয়। এটা একটি দীর্ঘস্থায়ী পদ্ধতি। আইপিডি এবং সিএপিডি এই দুই পদ্ধতিতেই রোগীর পেটে (peritoneal space) ডায়ালাইসিস ফ্লুইড ঢুকানো হয় এবং একটি নির্দিষ্ট সময় পর বের করে নেয়া হয়। হিমোডায়ালাইসিস কী? সহজ ভাষায় কিডনি ফেইল্যুর রোগীদের মেশিনের মাধ্যমে যে ডায়ালাইসিস দেয়া হয় সেটাই হচ্ছে হিমোডায়ালাইসিস। বেশিরভাগ কিডনি ফেইল্যুর রোগির ডায়ালাইসিস এই পদ্ধতিতেই করা হয়। যেখানে প্রতিসপ্তাহে রোগিকে ২-৩ বার ডায়ালাইসিস দেয়া হয়। আর এই ডায়ালাইসিস দেয়ার জন্য রোগীর শরীরের শিরার সাথে মেশিনের সংযোগ করতে হয় যাকে বলা হয় হিমোডায়ালাইসিস Access বা পথ। এই পথ বিভিন্নভাবে তৈরি করা যায়। যেমন কারো যদি জরুরী ডায়ালাইসিস প্রয়োজন হয় তখন কুঁচকিতে অথবা গলায় অস্থায়ী ক্যাথেটার (Temporary catheter) দিয়ে ডায়ালাইসিস করা হয়। এছাড়া এই ক্যাথেটার বিভিন্নভাবে দেয়া যায় যেমন টানেল ক্যাথেটার এবং পারমানেন্ট ক্যাথেটার। অস্থায়ী ক্যাথেটার এবং পারমানেন্ট ক্যাথেটার এর প্রধান পার্থাক্য হচ্ছে; অস্থায়ী ক্যাথেটার দিয়ে সাধারণত ৩-৪ সপ্তাহ পর্যন্ত ডায়ালাইসিস দেয়া যায়। তারপর ক্যাথেটার এর যায়গা পরিবর্তন করতে হয়। পারমানেন্ট ক্যাথেটার দিয়ে ৬ মাস থেকে ১ বছর পর্যন্ত ডায়ালাইসিস দেয়া যায়। তবে হিমোডায়ালাইসিস Access বা পথের সবচেয়ে উত্তম হচ্ছে আরটারিও ভেনাস ফিসটুলা (A-V Fistula)। এই ফিস্টুলা হচ্ছে কৃত্রিম উপায়ে ধমনীর সাথে শিরার সংযোগ ঘটানো। এটা একধরনের অপারেশনের মাধ্যমে আমাদের হাতের কব্জির উপরে অথবা কনুইয়ের উপরে করা হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্থানীয়ভাবে অবশ করেই (Local Anaesthesia) এই অপারেশন করা হয়। অনেকসময় যেসব রোগীর কব্জির উপরে বা কনুইয়ের উপরে ফিস্টুলা করার উপযোগী শিরা পাওয়া যায় না তাদের বাহুর গভীরের শিরা (Basilic vein) ব্যবহার করেও ফিস্টুলা করা সম্ভব। আমাদের দুই হাতেই ফিস্টুলা করা যায়। এমনকি পায়েও ফিস্টুলা করা সম্ভব। অনেকসময় কৃত্রিম রক্তনালী (Artificial graft) ব্যাবহার করেও ফিসটুলা করা হয়। ফিস্টুলা করলেই কি সাথে সাথে ডায়ালাইসিস শুরু করা যাবে? না। ফিস্টুলা তৈরি করার সাথে সাথে এই ফিস্টুলা দিয়ে ডায়ালাইসিস শুরু করা যায় না। ফিস্টুলা দিয়ে ডায়ালাইসিস শুরুর আগে ফিসটুলা ম্যাচুরেশন হয়েছে কিনা নিশ্চিত হতে হয়। সাধারণতঃ ফিস্টুলা ম্যাচুরেশনের জন্য ৬ সপ্তাহ সময় লাগে। তাই ফিস্টুলা তৈরি থেকে ডায়ালাইসিস শুরু করতে কমপক্ষে ৬ সপ্তাহ সময় লাগে। এই সময়ে রোগীকে কিছু নিয়মকানুন মেনে চলতে হয় এবং নির্দেশমত হাতের ব্যায়াম করতে হয়। কিডনী রোগীদের কখন ফিস্টুলা করতে হয় এবং এর উপকারীতা কী কী? যেসব রোগী কিডনী রোগে ভুগছেন তাদেরকে সাধারণত একজন কিডনীরোগ বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে নিয়মিত চিকিৎসা নিতে হয়। কিডনী রোগ বিশেষজ্ঞ যখন রোগীর বিভিন্ন লক্ষন ও পরীক্ষা নিরীক্ষার রিপোর্ট দেখে ধারনা করেন আগামী ৬ মাসের মধ্যে রোগীর যেকোন সময় ডায়ালাইসিস লাগতে পারে। তখনই তিনি রোগীকে ফিস্টুলা করার পরামর্শ দিবেন। ডায়ালাইসিস শুরুর পূর্বেই এই ফিস্টুলা ডায়ালাইসিস দেয়ার উপযোগী থাকাই উত্তম। ফিস্টুলা করার উপকারীতে হচ্ছে ফিস্টুলা দিয়ে ডায়ালাইসিসের জন্য পর্যাপ্ত রক্ত সংগ্রহ করা যায়। ডায়ালাইসিসের সময় খুব সহজেই ফুটো (Needling) করা সম্ভব হয়, কারন বাইরে থেকে সহজেই শিরা বুঝা যায়। A-V ফিস্টুলা একটি স্বল্প সময়ের অপারেশন। অনেকে বলেন মাইনর অপারেশন। আমি একজন ভাসকুলার সার্জন হিসাবে বলবো ফিস্টুলা একটি সূক্ষ অপারেশন। আমরা বলি Tricky অপারেশন। এই বিষয়ে দক্ষ সার্জন দিয়ে অপারেশন করাতে না পারলে এর জটিলতা অনেক বেশী। এমনকি এই ফিস্টুলা অপারেশনের জটিলতা থেকে রোগীর মৃত্যুও ঘটতে পারে। সিঙ্গাপুরের মতো উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থার দেশে ফিস্টুলা অপারেশনের সফলতার হার শতকরা ৬৫ ভাগ। যদিও আমাদের এই সফলতার হার অনেক বেশী। বাস্তবে এই সফলতা নির্ভির করে আপনি কাকে দিয়ে অপারেশন করাচ্ছেন এবং রোগীর শারীরিক অবস্থার উপর। এই ধরনের অপারেশনের পূর্বে অবশ্যই রোগীর হাতের শিরা ও ধমনী ডুপলেক্স পরীক্ষার মাধ্যমে দেখে নিতে হবে যাকে বলা হয় ভেনাস ম্যাপিং। সুতরাং ফিস্টুলা অপারেশন অবশ্যই একজন দক্ষ সার্জন দিয়ে করাতে হবে। অপারেশনের পাশাপাশি নিয়ম কানুন মেনে চলা এবং হাতের ব্যায়াম করাও এই অপারেশনের সফলতার একটি গুরুত্বপূর্ন অংশ। কাজেই যারা কিডনি রোগে ভুগছেন তারা নিয়মিত একজন কিডনিরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শে চিকিৎসা নিবেন এবং যাদের ডায়ালাইসিস এর প্রয়োজন হতে পারে তারা অবশ্যই ডায়ালাইসিস শুরু করার পূর্বেই ফিস্টুলা তৈরি করে নিবেন। ফিসটুলা তৈরীর পাশাপাশি সঠিকভাবে নিয়মকানুন মেনে চললে এবং হাতের ব্যায়াম করলে ফিস্টুলা অপারেশন সম্পর্কিত বিভিন্ন জটিলতা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব এবং নিয়মিত ডায়ালাইসিসের মাধ্যমে অনেকটা সুস্থ মানুষের মত জীবন যাপন করতে পারবেন। তবে তারচেয়ে জরুরী কীভাবে কিডনী বিকল হওয়া প্রতিরোধ করা যায়। এই ক্ষেত্রে রক্তের গ্লুকোজ এবং ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখা , অতিরিক্ত লবন খাওয়া পরিহার করা, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা, ইচ্ছেমত ব্যথার ঔষধ না খাওয়া, নিয়মিত ব্যায়াম করা এবং দুঃশ্চিন্তা থেকে মুক্ত থাকার অভ্যাস করতে হবে।
হঠাৎপা অনেক বেশি ফুলে যাওয়া – ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিস (ডি ভি টি ) ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিস কি ?
কোন কারনে শরীরের গভীরে শিরা বন্ধ হয়ে গেলে তাকে ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিস বলে ।
After COVID-19 dry gangrene
Regarding COVID 19 pandemic
সিঙ্গাপুরের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারে বাংলাদেশ
ডায়াবেটিক ফুট আলসার
Non healing ulcer
Gangrenous foot due to arterial block
Haemangioma - vascular tumor
Venous ulcer for 20 years
Acute limb ischemia
Acute limb ischemia
Acute limb ischemia
Before and after treatment of acute limb limb ischaemia with gangrenous change of 2nd & 3rd toe.
CT Angiogram Of Lower Limb Arteries
রোগ এবং করণীয়
পায়ে ঘা হলে যা করবেন:
ডাঃ জুবায়ের আহমেদ
chtfirstnews24.com
হাত বা পায়ে হঠাৎ তীব্র ব্যথা, আস্তে আস্তে ঠান্ডা হয়ে অবশ হয়ে যাচ্ছে- কী করবেন?
ডাঃ জুবায়ের আহমেদ
bdhealthexpress.com
Make an Appointment
অজানা রোগ সবসময় অজানা নয়
সম্প্রতি মনি মুক্তার অজানা রোগের কথা সবাই জানেন। কিন্তু সেই অজানা রোগ শেষপর্যন্ত অজানা
আসলে সে ভুগছিলো রক্তনালীর টিউমার নামক রোগে। রক্তনালীর টিউমার শরীরের যেকোন জায়গায় হতে পারে। অনেকসময় জন্মের পরপরই এই রোগ দেখা যায়। অনেকেই একে জন্মদাগ (Birth Mark) বলে থাকেন।
চিকিৎসা বিজ্ঞানে একে Hemangioma বলা হয়। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বাচ্চা বড় হবার সাথে সাথে এই টিউমার ভালো হয়ে যায়। যাদের থেকে যায় বা বড় হবার পরে প্রকাশ পায় তাদের কী করনীয় সেটাই আলচ্য বিষয়।
টিউমার হচ্ছে শরীরের যেকোন যায়গায় বা অঙ্গে কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং এই টিউমার যখন রক্তনালীতে হয় তখন তাকে রক্তনালীর টিউমার বলে। রক্তনালীর টিউমার সাধারনত বেনাইন (নন ক্যান্সারাস) টিউমার। এই টিউমারের সবসময় চিকিৎসার প্রয়োজনও হয় না। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে যদি টিউমারের আকার বাড়তে থাকে এবং উপসর্গের দেখা দেয় তখনই চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।
হয়। ডুপ্লেক্স পরীক্ষা করেই রোগ সম্বন্ধে নিশ্চিত হওয়া যায়। অনেকসময় টিউমারের বিস্তৃতি বা গভীরতা জানার জন্য এমআরআই নামক একটি পরীক্ষার প্রয়োজন হয়। অপারেশনের মাধ্যমে এই রোগের চিকিৎসা করা যায়। তবে সম্পূর্ন টিউমার বের করে আনা সম্ভব হয় না। ফলে অপারেশনের পরে আবারও টিউমার হতে পারে টিউমারের আকার আকৃতি ও অবস্থানের উপর নির্ভর করে ইঞ্জেকশানের (ফোম স্ক্লেরো থেরাপি) মাধ্যমেও চিকিৎসা করা যায়।
ডাঃ জুবায়ের আহমেদ
ফেলো (ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতাল), সিঙ্গাপুর
সহকারী অধ্যাপক ও সহযোগী কনসালটেন্ট
ভাসকুলার সার্জারী বিভাগ
ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল এন্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট।
যোগাযোগের ফোন নংঃ
০১৭৮৯ ৫৭০ ২৪০
সূত্রঃ ২৩/অজানা রোগ সবসময় অজানা নয়/ডা. জুবায়ের আহমেদ/ কার্ডিয়াক বার্তা/Volume 6/Number 17- November 2018
Youtube Videos
Dr. Jubayer Ahmad
with Associate Prof Jackie Ho, renowned vascular surgeon of NUH, Singapore at SVSS
With Vascular team at NUH. Right side of Dr Jubayer Ahmad --
supervisor Dr. Julian. Wong, HOD, Vascular surgery at NUH, Singapore
With Prof Asit Baran Adhikary during convocation of Dr. Jubayer's MS ( CV& TS) at BSMMU
With. Prof MA Rashid sir, CEO, ICHRI
With Dr. Jubayer's senior brother. Dr Ezaz at RpMC world connect programme
Frequently Asked Questioins
-
ভ্যারিকোস ভেইন কি ?
এটা এক ধরনের পায়ের শিরার সমস্যা । যেখানে পায়ের চামড়ার নিচের শিরাগুলো ফুলে উঠে। আঁকাবাঁকা এবং প্রসারিত হয়ে যায়। একে আঁকাবাঁকা শিরাও বলা হয়ে থাকে।
-
এই রোগের উপসর্গ বা লক্ষন গুলো কি কি ?
১ ) পায়ে আঁকাবাঁকা শিরা দেখা যায়।
২) পা ভার ভার মনে হয়।
৩) দীর্ঘক্ষণ দাড়িয়ে থাকলে বা বসে থাকলে পা ফুলে যায়
৪) রাতে পা কামড়ায় বা পায়ে টান লাগে।
-
ভ্যারিকোস ভেইন কিভাবে বুঝা যাবে ?
প্রথমে রোগী দেখে বুঝতে হবে ভ্যারিকোস ভেইন আছে কিনা , এছাড়া ডুপ্লেক্স পরীক্ষা করলেই এই রোগ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়।
-
ডুপ্লেক্স পরীক্ষা কিভাবে করা হয়?
ডুপ্লেক্স পরীক্ষা আলট্রা সাউন্ড মেশিন এর মাধ্যমে করা হয় ।
-
ডুপ্লেক্স পরীক্ষায় কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে ?
না- ডুপ্লেক্স পরীক্ষায় কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।
-
ভ্যারিকোস ভেইন এর কি কি জটিলতা দেখা দেয়?
১। ভ্যারিকোস ভেইনের জন্য রক্তক্ষরণ ঘটতে পারে।
২। পায়ের চামড়ার রঙ পরিবর্তন হয়ে কালো হয়ে যায় ।
৩। পায়ের চামড়া শক্ত হয়ে যায়।
৪। পায়ে ঘা হতে পারে যা সহজে শুকাতে চায় না ।
৫। পায়ের গভীরের শিরা বন্ধ হয়ে পা অনেক বেশি ফুলে যেতে পারে।
-
ভ্যারিকোস ভেইন এর কি কি চিকিৎসা ব্যবস্থা বাংলাদেশে আছে ?
১। লেজারের মাধ্যমে
২। রেডিও ফ্রিকোয়েন্সির মাধ্যমে ।।
৩। মেকানো কেমিক্যাল এব্লেশন ।
স্কেলো থেরাপি ।
৫। গতানুগতিক অপারেশন ।
-
ভ্যারিকোস ভেইন বা ক্রনিক ভেনাস ইনসাফিয়েন্সি রোগীদের কি কি নিয়ম কানুন মেনে চলতে হয় ?
১। দীর্ঘক্ষণ টানা দাড়িয়ে বা বসে না থাকা ।
২। পা ঝুলিয়ে না বসা ।
৩। শেখানো নিয়মে নিয়মিত কিছু ব্যায়াম করা।
৪। সুযোগ পেলেই পা উঁচুতে রাখা।
৫। রাতে ঘুমানোর সময় পায়ের নিচে বেড ওয়েজ ব্যাবহার করা।
৬। হাঁটা চলার সময় বিশেষ মোজা ব্যাবহার করা ।
৭। পায়ে লোশন / অলিভ অয়েল / প্যরাফিন ব্যাবহার করা।
-
ভ্যারিকোস ভেইন কাদের বেশি হয়?
ভ্যারিকোস ভেইন কাদের বেশি হয়- তার প্রকৃত কারন অনেক সময় জানা যায় না ।
তবে যাদের জন্মগত শিরার ভালব গুলো দুর্বল কিংবা শিরার গাত্র দুর্বল তাদের ক্ষেত্রে এই রোগ বেশি হয়ে থাকে । আর যাদের জন্মগত শিরায় এই সমস্যা থাকে তাদের যদি বেশিক্ষন দাড়িয়ে কাজ করতে হয় তখন ভ্যারিকোস ভেইন হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায় যেমন ট্রাফিক পুলিশ
, শিক্ষক – যারা দীর্ঘক্ষণ অপারেশন করেন তাদের এই রোগ বেশি হয়।
-
ভ্যারিকোস ভেইন রোগীর কখন অপারেশন করা প্রয়োজন ?
ভ্যারিকোস ভেইন এর কারনে রোগীর বিভিন্ন জটিলতা দেখা দেয় যেমন-
২। পায়ের চামড়ার রঙ পরিবর্তন হয়ে কালো হয়ে যায় ।
৩। পায়ের চামড়া শক্ত হয়ে যায়।
৪) পায়ে আলসার বা ঘা দেখা দিলে ।
তাছাড়া ভ্যারিকোস ভেইন এর যেসব রোগী
১) বিদেশে কাজ নিয়ে যেতে চান।
২) যারা প্রতিরক্ষা বাহিনিতে যোগ দিতে চান
৩) কসমেটিক কারনে পা দেখতে খারাপ দেখালে ।
মনে রাখবেন –
ভ্যারিকোস ভেইন এর রোগী চাকরি নিয়ে বিদেশ যেতে পারে না – এমনকি প্রতিরক্ষা বাহিনিতেও যোগদান করতে পারে না।
তবে , আশার কথা – চিকিৎসা করিয়ে নিলে – উভয় ক্ষেত্রেই সমস্যা হয় না। -
ভ্যারিকোস ভেইন কি রক্তনালী ব্লকের এর জন্য হয়?
না, ভ্যারিকোস ভেইন রক্তনালী ব্লকের এর জন্য হয় না ।
তবে , জটিলতা হিসাবে পায়ের গভীরের শিরা বন্ধ হয়ে যেতে পারে – যাকে বলা হয় DVT বা ডিপ ভেইন থম্বোসিস। -
লেজার কি (LASER) ?
লেজার (LASER – Light Amplification by Stimulated Emission Radiation ) এক ধরনের লাইট যার মাধ্যমে আঁকাবাঁকা শিরার চিকিৎসা করা যায়।
-
লেজার চিকিৎসার সুবিধা কি কি ?
১) কোন কাঁটা ছেঁড়ার দরকার হয় না । শিরায় ফুটো করে লেজার ফাইবার ঢুকানো হয় , ফলে কোন সেলাই দরকার হয় না । ।
২) চিকিৎসার পর কোন দাগ থাকে না ।
৩) চিকিৎসার পর খুব তাড়াতাড়ি কাজে যোগদান করা যায়।
৪) একই সাথে দুই পায়ের অপারেশন করা যায়। -
ফিস্টূলা কি ?
কোন কারনে শিরা এবং ধমনীর মধ্যে সংযোগ স্থাপিত হলে তাকে ফিস্টূলা বলা হয়। কিডনি রোগীদের ডায়ালসিস এর সুবিধার্থে কৃত্তিম উপায়ে অপারেশনের মাধ্যমে এই ধরনের ফিস্টূলা তৈরি করা হয়। মুলত হাতের কব্জির উপরে এবং বাহুতে এই ফিস্টূলা তৈরি করা হয় ।
-
ফিস্টূলা অপারেশন কিভাবে হয়?
ফিস্টূলা একটি সূক্ষ্ম অপারেশন । তবে রোগীকে স্থানীও ভাবে অবশ করেই চামড়ার নিচে ধমনী ও শিরার সংযোগ ঘটান হয় ।
-
ফিস্টূলা অপারেশন এর সুবিধা কি কি ?
১) ডায়ালাইসিসের জন্য পর্যাপ্ত রক্ত সরবরাহ করা হয় । ২)ডায়ালাইসিস করার সময় খুব সহজে রক্তও সংগ্রহের জন্য ফুটো করা হয় । ৩) বাইরে থেকে ধমনী বা শিরা সহজেই বুঝা যায়। ৪) ডায়ালাইসিস করার সময় রোগীর ব্যথা কম হয়।
-
ফিস্টূলা অপারেশনের সময় রোগীকে কি কি নিয়ম কানুন মেনে চলতে হয়?
১) ফিস্টূলা করা হাতে ব্লাড প্রেশার মাপা যাবে না । ২) ফিস্টূলা করা হাত থেকে কোন প্রকার রক্ত সংগ্রহ করা যাবে না । ৩) ফিস্টূলা করা হাত মাথার নিচে দিয়ে শোয়া যাবে না । ৪) রোগীকে শেখানো নিয়মে ব্যায়াম করতে হয় । ৫) ফিস্টূলা করা জায়গায় ত্বকের রঙ পরিবর্তন হয়ে গেলে বা ফুলে গেলে বা রক্ত ক্ষরণ হলে সাথে সাথে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করতে হবে । ৬) ব্লাড প্রেসার যাতে কমে না যায়- সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে ।
-
ফিস্টূলা অপারেশনের পর কি কি জটিলতা দেখা দিতে পারে ?
ফিস্টূলা সাচুরা বা ডায়ালাইসিসের উপযোগী নাও হতে পারে। ফিস্টূলা কোন অংশে সরু হয়ে যেতে পারে। ফিস্টূলা নির্দিষ্ট একটি জায়গা সাধারন শিরা ও ধমনীর সংযোগ স্থল প্রসারিত হয়ে যেতে পারে – যাকে সিউডোএনিওরিজম বলা হয় । ফিস্টূলা বন্ধ হয়ে যেতে পারে ।
-
ফিস্টূলা বন্ধ হয়ে গেলে করনীয় কি ?
প্রথমে ডুপ্লেক্স পরীক্ষা করে দেখে নিতে হবে কি কারনে বন্ধ হল। অনেক সময় ফিস্টূলার কোন অংশ সরু বা বন্ধ হয়ে গেলে ক্যাথ ল্যাবে বেলুন দিয়ে ফুলিয়ে ফিস্টূলা পুনরায় চালু করা যায় । যাকে ফিস্টূলুপ্লাস্টি বলা হয়। স্থানীও ভাবে অবশ করে কাঁটা ছেড়ার মাধ্যমে ফিস্টূলা চালু করা যায়।
-
ফিস্টূলা সফলভাবে অপারেশনের পর করনীয় কি কি ?
১) তিন থেকে ছয় মাস পর পর ডুপ্লেক্স পরীক্ষা করা । ২) ডায়ালাইসিসের সময় রক্তের গতি ও সরবরাহ কমে গেলে দ্রুত চিকিৎসা করান । ৩) একই জায়গায় বারবার ছিদ্র বা পাংচার না করা। ৪)অভিজ্ঞ নার্স দিয়ে ডায়ালাইসিস করানোর সময় ছিদ্র বা পাংচার করানো।
-
হঠাৎপা অনেক বেশি ফুলে যাওয়া – ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিস (ডি ভি টি )
ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিস কি ?
কোন কারনে শরীরের গভীরে শিরা বন্ধ হয়ে গেলে তাকে ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিস বলে ।
-
ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিসের কারন গুলো কি কি ?
ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিসের কারন অনেক সময় জানা যায় না তবে - ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিসের কারন গুলো হচ্ছে – ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিসের কারন অনেক সময় জানা যায় না তবে - ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিসের কারন গুলো হচ্ছে – ১) দীর্ঘ সময় অপারেশন – যেমন হাঁটু বা কোমরের হাড় প্রতিস্থাপন। ২) দীর্ঘ সময় নড়াচড়া না করা। ৩) ক্যন্সারে আক্রান্ত রোগী। ৪)গর্ভাবস্থা । ৫)জন্ম নিয়ন্ত্রনের বড়ি সেবন। ৬)মেদ বহুল শরীর। ৭)আঁকাবাঁকা শিরা বা ভ্যরিকোস ভেইন। ৮)রক্তে কিছু ফ্যাক্টরের ঘাটতি (যেমন প্রোটিন সি , প্রোটিন এস ইত্যাদি )।
-
ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিস কিভাবে বুঝা যায়?
১) প্রথমে রোগের লক্ষন দেখে বুঝা যায়। ২) রক্তের দি-ডাইমার পরীক্ষা করে ধারনা করা যায়। ৩) ডুপ্লেক্স পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া যায় ।
-
ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিসের জন্য কি চিকিৎসা দেয়া হয়?
১) বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ঔষধের মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়। প্রথমত রক্তও পাতলা করার ঔষধ ইনজেকশন (Hepasin/ Lowmoleculan weight hepasin) পরবর্তিতে মুখে খাবার টেবলেট (Rivaroxaban/apixaban/Warfain ) দেওয়া হয়। এছাড়া কাটাছেড়া না করে – এন্দভাস্কুলার চিকিৎসা করা হয় - যেমন ১) ক্যথেটার ডিরেকটেড থাম্বোলাইসিস । ২) ম্যাকানিক্যাল থাম্বোলাইসিস ৩) Angiojet Machine এর মাধ্যমে জমাট রক্ত বের করা হয় ।
-
ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিসের জটিলতা কি কি হতে পারে?
ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিসের বেশ কিছু জটিলতা দেখা দিতে পারে যেমন ১) দীর্ঘদিন পা ফুলে থাকতে পারে যাকে বলা হয় – পোস্ট থ্রম্বোটিক সিন্ড্রোম । ২) দীর্ঘদিন পা ফুলে থাকার কারনে – পায়ে ঘা হতে পারে- যাকে ভেনাস আলসার বলা হয়। ৩) আরেকটি মারাত্মক জটিলতা হচ্ছে- জমাট ভাধা রক্ত পা থেকে ফুসফুসে চলে যেতে পারে যাকে বলা হয় – পালমোনারি এম্বলিজম- ফলে- রোগীর শ্বাস কষ্ট শুরু হয়। এতে মৃত্যু ঝুকি থাকে।
-
করোনার সাথে ডিভিটি এর সম্পর্ক কি?
করোনা আক্রান্ত রোগীর ডিভিটিতে আক্রান্ত হবার ঝুকি থাকে। বিশেষত যাদের হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হয়। এবং যারা আগে থেকেই বিভিন্ন রোগে ভুকছেন। আর যাদের আই সি ইউ এর প্রয়োজন হয় – তাদের এইঝুকি অনেক বেড়ে যায়। করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর অন্যতম কারন হচ্ছে - পালমোনারি এম্বলিজম। ডি ভি টি রোগীদের এই পালমোনারি এম্বলিজমের ঝুকি থাকে।
-
ডি ভি টি রোগীদের করণীয় কি কি ?
১) রক্ত পাতলা করার ঔষধ খেতে হয় । ২) হাঁটা চলার সময় – বিশেষ ধরনের মোজা পরতে হয়। যাকে বলা হয় – (Graduated completion stockings) ৩) ঘুমানোর সময় মোজা খুলে রাখতে হয় এবং পায়ের দিক উচু রাখতে হয়। সেক্ষেত্রে Bed Wedge ব্যবহার করলে ভাল ফল পাওয়া যায়। ৪) শেখানো নিয়মে কিছু ব্যায়াম করতে হয়। ৫) যাদের ওজন বেশি তাদের ওজন কমাতে হয়।
-
ডায়াবেটিক ফুট
ডায়াবেটিক ফুট আলসার কি ?
ডায়াবেটিক রোগীদের পা যদি কোন কারনে ক্ষত সৃষ্টি হয়- তাকেই বলা হয় ডায়াবেটিক ফুট আলসার।
-
ডায়াবেটিক ফুট কারন গুলি কি কি ?
ডায়াবেটিক ফুট এর প্রধান কারন হচ্ছে – ১) রক্ত সঞ্চালন কমে যাওয়া বা বন্ধ হয়ে যাওয়া। ২) অনিয়ন্ত্রিত ব্লাড সুগার । ৩) পায়ের অনুভুতি কমে যাওয়া বা নিউরোপ্যাথি
-
ডায়াবেটিক ফুট আলসার রক্ত সঞ্চালন কমে যাওয়া বা বন্ধ হয়ে যাওয়ার জন্য হচ্ছে কিনা কিভাবে বুঝা যায়?
১) প্রথমত রোগীর আলসার বা ঘা দেখা বুঝা যায়। এক্ষেত্রে ঘা বেশির ভাগ সময় শুকনা থাকে যাকে বলা হয় ড্রাই গ্যাং গ্রিন । ২) এছাড়া রোগীর পালস বা নাড়ী পরীক্ষা করলে দেখা যায়- আক্রান্ত পায়ে পালস পাওয়া যায় না।
-
কি পরীক্ষা করলে বুঝা যাবে – রক্তও সঞ্চালন কমে গেছে বা বন্ধ হয়ে গেছে?
১) ডুপ্লেক্স পরীক্ষা করে ধারনা পাওয়া যায় । ২) এছাড়া এঞ্জিওগ্রাম করলে নিশ্চিত হওয়া যায়।
-
ডায়াবেটিক রোগীর পায়ে বা হাতে রক্ত সঞ্চালন কমে গেলে বা বন্ধ হয়ে গেলে কিভাবে চিকিৎসা করা যায়?
১) হার্ট এর মতো হাত বা পায়ের রক্ত নালীও বেলুন দিয়ে ফুলানো যায়- যাকে বলা হয় এঞ্জিও প্লাস্টিক । এবং প্রয়োজন স্ট্যান্ট বা রিং বসিয়েও রক্ত সঞ্চালন চালু করা যায়। ২) রক্তের ব্লকের উপরে নির্ভর করে বাই পাস অপারেশন করা যায়। অনেক সময় রক্তনালী কেটে চর্বি পরিষ্কার করা হয়- যাকে বলা হয় – এন্ডাআরটারেকটোমি।
-
শুকনা ঘা বা ড্রাই গ্যাংগ্রিন এর অপারেশন ছাড়া আর কি কি ভাবে চিকিৎসা করা যায়?
বর্তমানে বেশ কিছু নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে চিকিৎসা করা যায়। এগুলোর মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হচ্ছে – ১) Vivostat পদ্ধতি ২) স্টিম সেল থ্যারাপী Stem cell therapy ৩) পি আর পি PRP ৪) নিউরো স্টিমুলেসন (Neurostimullation )
-
ডায়াবেটিক ফুট আলসার এর কি কি পরিনতি হতে পারে ?
সময় মত সঠিক উপায়ে চিকিৎসা না করাতে পারলে নিম্ন লিখিত জটিলতা দেখা দিতে পারে – ১) গ্যাং গ্রিন বা হাত পায়ে পচন দেখা দিতে পারে । ২) অংগ হানী ঘটতে পারে – ফলে পঙ্গুত্ব বরন করতে হয় । ৩) এমনকি রোগীর মৃত্যুও হতে পারে ।
-
রক্ত নালীর ব্লক সমস্যা –
রক্ত নালীর ব্লক বলতে কি বুঝায়?
রক্ত চলাচল কোন কারনে বন্ধ হয়ে গেলে বা বাধা প্রাপ্ত হলে তাকে রক্ত নালীর ব্লক বলে । রক্ত নালীর ব্লক বলতে সাধারনতঃ আমরা ধমনির রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়াকেই বুঝি।
-
কি কি কারনে রক্ত নালীর ব্লক হতে পারে?
১) ধুমপান ২) রক্তে উচ্চমাত্রার চর্বি ৩) অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস ৪) অলস জীবনযাপন ৫) দুর্ঘটনা জনিত
-
রক্তনালীতে ব্লক হলে কি কি লক্ষন দেখা যায়?
১) পায়ের রক্ত নালীতে ব্লক হলে হাঁটলে পায়ে ব্যাথা হয় যা বিশ্রাম নিলে একটু কমে আসে । দিন দিন ব্যাথা বাড়তে থাকে । হাঁটার দূরত্ব কমতে থাকে । এক সময় বিশ্রাম নিএও পায়ে ব্যাথা হয় এবংরাতে ঘুমাতে পারে না। ২) হাতের রক্ত নালীতে ব্লক হলে কাজ করার সময় হাতে ব্যাথা হয় এবং ব্লাড প্রেশার মাপ্লে আক্রান্ত হাতে প্রেশার কম পাওয়া যায়।
-
রক্ত নালীতে ব্লক হলে পরিনতি কি হতে পারে-?
রক্ত নালীতে ব্লক হলে হাত পায়ে ব্যাথা হয় যা আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে । একসময় রোগী ব্যাথার জন্য ঘুমাতেও পারে না । হাত বা পায়ে আলসার হতে পারে – যা গ্যাংগ্রিনে রূপ নিতে পারে । ফলে হাত বা পা কেটে ফেলতে হয় । রোগীকে পঙ্গুত্ব বরন করতে হয় । যে সব পঙ্গু লোক দেখতে পাওয়া যায়- তার একটা বড় অংশ এই রক্তনালী ব্লকে ভুগছে। এর ফলে অনেক সময় রোগীর মৃত্যুও ঘটতে পারে।
-
কিভাবে রক্ত নালীর ব্লক বুঝা যাবে?
১) রোগীর লক্ষন থেকে। ২) হাত বা পায়ের পালস বা নাড়ী পরীক্ষা করে। ৩) ডুপ্লেক্স পরীক্ষার মাধ্যমে । যা আলট্রা সাউন্ড পরীক্ষার মাধ্যমে করা হয়। ৪) এনজিওগ্রামের মাধ্যমে।
-
এনজিওগ্রাম কি কি পদ্ধতিতে করা যায়?
এনজিওগ্রাম তিন পদ্ধতিতে করা যায় ১) কনভেনশনাল এনজিওগ্রাম - যা ক্যাথল্যাবে করা হয় ২) সি টি এনজিওগ্রাম - যা সি টি স্ক্যান মেশিনের মাধ্যমে করা হয় । ৩) এম আর এনজিওগ্রাম - যা এম আর আই মেশিনের মাধ্যমে করা যায় ।
-
এনজিওগ্রামের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কি কি ?
১) রেডিয়েশন ২) এনজিওগ্রামে এক ধরনের ডাই বা কন্ট্রাস্ট ব্যাবহার করা হয়- যা কিডনির ক্ষতি করতে পারে- যার জন্য কিডনি রোগীদের এনজিওগ্রামের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হয় । তবে- কন্ট্রাস্ট ছাড়া এন জি ও গ্রাম করলে এই সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। ৩) কনভেনশনাল এন জি ও গ্রাম করার সময় রক্ত নালী ফুটো করা হয়- সেই জায়গায়- অনেক সময় কিছু জটিলতা দেখা যেতে পারে ।
-
রক্ত নালী ব্লক সমস্যা কিভাবে সমাধান করা যায়?
১)কাটা ছেড়া না করে অ্যান্ডো ভাস্কুলার পদ্ধতিতে এই সমস্যা সমাধান করা যায়। এন জি ও গ্রাম করে বেলুন দিয়ে ব্লক অপসারণ করা যায়- যাকে এনজিওপ্লাস্টিক বলা হয় । তারপর অনেক সময় – ব্লকের জায়গায় রিং অথবা স্ট্যান্ট বসান হয়। ফলে রিং বা স্ট্যান্টের ভিতর দিয়ে রক্ত চলাচল করতে পারে। ২) এছাড়া কাঁটা ছেড়া করে রক্তনালীর ব্লকের স্থানে জমা থাকা চর্বি পরিষ্কার করে দেয়া যাকে বলে এন্ডআরটারেকটমি । এছাড়া বাইপাস অপারেশনের মাধ্যমে রক্ত সরবরাহ নিশিত করা যায়।
-
রিং বা স্ট্যান্ট কি ?
১) এটা ধাতব পদার্থ দিয়ে তৈরি । বিভিন্ন আকারের রক্তনালী অনুযায়ি এটা তৈরি করা হয়। এটা বিভিন্ন ধরনের থাকে। এটা এমন ভাবে তৈরি করা – যাতে রক্তনালী তে বসিয়ে দেয়ার পর সুন্দরভাবে লেগে যায়।
-
রিং বসানোর সুবিধা কি কি ?
১) কাঁটা ছেঁড়ার দরকার হয় না। ২) রোগীকে স্থানীও ভাবে অবশ করা হয় – পুরোপুরি অবশ করতে হয় না । ৩) হাসপাতালে কম সময় থাকতে হয় । ৪) কোন কারনে রিং না বসাতে পারলে – কাঁটা ছেঁড়া করে এন্ডআরটারেকটমি বা বাইপাস অপারেশনের সুযোগ থাকে।
Contact
Present Address: Flat no-C-4, BBL Tower, 9, Mymensingh Road,
Banglamotor, Dhaka.
Permanent Address: Vill:Sonaykanda, Post Office: Porakandulia, Thana-Purbodhala,
Dist: Netrokona.
Mobile Number: +88-01789570240
Social Activities
Visits nursing home at Singapore with Bangladeshi community as charity work.
Giving speech regarding COVID 19 pandemic
awareness in Ramna Usha Songha